সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদদাতা: বাগেরহাটের মোড়লগন্জ্ঞে শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের পূর্ন্যভূমি শ্রীধাম লক্ষ্মীখালীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০১তম বারুনীস্নান ও মতুয়া মহামেলা ২০২৩।
সোমবার(৩ এপ্রিল) দক্ষিনান্ঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গোপাল চাঁদ বারুণী মেলা ও পূর্ন স্নান শুরু হয়।ভক্তের মনবাসনা পূর্নলাভ পাপমোচনের জন্য অংশ নেয় পূর্নস্নানে। আজ লহ্ম্য ভক্তের আগমনে বারুণী স্নানের মধ্যে দিয়ে ৭ দিনব্যাপী মেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।অনেক দূর দূরান্ত হতে ভক্তরা ছুটে আসে মেলায়। কাঁসর ডঙ্কা ধ্বনিতে মুখোরিত পুরো ধাম।মেলাকে কেন্দ্র করে বসেছে নানা ধরনের দোকানপাট।ভিড় জমাচ্ছে ন লোকজন।সকল ধর্মের লোকের সমাগম এ মেলায়।সকলের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ মতুয়া মহা সংঘের বর্তমান মহাসচিব ও শ্রীধাম লক্ষীখালী ধাম কর্তা শ্রী সাগর সাধু ঠাকুর বলেন-প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও এই মেলায় নারী- পুরুষসহ লক্ষাধিক ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে।বিগত বছরের মতো এ বছরও সুন্দরভাবে উদযাপিত হবে মেলা। আজ সোমবার মেলার প্রথম দিনে ত্রয়োদশী তিথিতে বারুণী স্নানের মধ্য দিয়ে মেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ কয়েক শতাধিক দলের লক্ষাধিক ভক্ত আসেন।শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২তম আর্বিভাব স্মরণোৎসব উপলক্ষে লক্ষ্মীখালী শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে মতুয়া মেলা হয়। বাংলা ১৩২৯ সাল থেকে লক্ষীখালী গোপাল সাধুর লীলাধামে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এখন ‘গোপাল সাধুর’ মেলা নামেও পরিচিত। সেই ধারাবাহিকতায় শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২তম জন্ম স্মরণে এবারের বারুণী স্নান ও মহামেলার আয়োজন করা হয়।
মেলায় প্রশাসনের রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেলা কমিটির পহ্ম থেকে বলেনটিয়ার রয়েছে। আনসার,গ্রাম পুলিশ, থানা পুলিশ রয়েছে। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবেনা কাউকে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন পীযুষ কান্তি বন্ধপাধ্যায়,পূজা উদযাপন কমিটি,বাবু শ্রীমানন্দ দবনাথ,ঢাকা পূজা উদযাপন কমিটি,বাবু মিলন দত্ত,পূজা উদযাপন পরিষদ,মো: আজিজুর রহমান,বাগেরহাট জেলা প্রশাসক,রানা দাস গুপ্ত,দূর্নীতি দমন কমিশন, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা,ইউপি চেয়ারম্যান,আওয়ামীলীগ নেতাবর্গ,সাংবাদিকবৃন্দসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।